স্বদেশ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সূচনা হয়েছে নতুন অধ্যায়ের। টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা প্রথম ভ্যাকসিন নেন। পরে আরো চার সম্মুখযোদ্ধা টিকা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে ইতিহাসে নাম লেখান এ পাঁচ জন। ভ্যাকসিন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের টিকা আনতে সরকার শুরু থেকেই যোগাযোগ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
অক্সফোর্ডের টিকার জন্য ভারতের সিরামের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করা হয়েছিল বলেই দ্রুত টিকা আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে এমন একটা অবস্থা ছিল, নিজের মায়ের লাশ, বাবার লাশও ফেলে চলে গেছে সন্তান, হাত দিতে সাহস পায়নি। এই অবস্থায় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছে যাদের কিছুই ভাল লাগে না। তারা নানা সমালোচনা করেন। আশা করি তারাও আসবেন। ভ্যাকসিন নেবেন। করোনার কারণে অনেকটা বন্দি জীবনযাপন করতে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইচ্ছা ছিল অনুষ্ঠানে সরাসরি থাকার। কিন্তু থাকতে পারলাম না। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।